Saturday, July 6, 2024
Homeরম্য রচনাচার্লি চ্যাপলিন - সৈয়দ মুজতবা আলী

চার্লি চ্যাপলিন – সৈয়দ মুজতবা আলী

আমার ছেলেবেলায় বায়স্কোপও ছেলেমানুষ ছিল। হরেকরকম ফিলিম তখন আসত; ছোট, বড়, মাঝারি– এখনকার মতো স্টান্ডার্ডাইজড নয়। সেনসর বোর্ড-ফোর্ডও তখন শিশু, এখনকার মতো ‘জ্যাঠা’ হয়ে ওঠেনি—’ এটা অশ্লীল’, ‘ওটা কদর্য’, ‘সেটা বড়কর্তাদের নিয়ে মশকরা করেছে’ বলে দেশের-দশের রুচি মেরামত করার মতো হরিশ মুখুয্যে দি সেকেন্ড হয়ে ওঠেনি। কাজেই হরেক রুচির ফিলিম তখন এদেশে অক্লেশে আসত এবং আমরা সেগুলো গোগ্রাসে গিলতুম। তার ফলে আমাদের চরিত্র সর্বনাশ হয়েছে, একথা কেউ বলেনি। এবং আজ যে সেনসর বোর্ডের এত কড়াক্কড়ি, তার ফলে এযুগের চ্যাংড়া-চিংড়িরা যিশুখস্ট কিংবা রামকেষ্ট হয়ে গিয়েছে এ মশকরাও কেউ করেনি। তবু শুনেছি সেনসর বোর্ডের বিশ্বাস, বিস্তর ছবি ব্যান করলে শেষটায় ভালো ছবি বেরুবে। তাই যদি হয়, সাহিত্যের ক্ষেত্রেও একটা সেনসর বোর্ড লাগাও না কেন? কাকা-মামা-শালাদের চাকরি তো হবেই এবং সুবো-শাম হুদোহুদো বই ব্যান করার ফলে একদিন ইয়া দাড়িগোঁফ সমেত আরেকটি সমুচা রবিঠাকুর বেহেশত থেকে টুকুস্ করে ঢসকে পড়বেন– এই যেরকম হাওড়া ইস্টিশানের কল থেকে প্ল্যাটফর্ম টিকিট মিনস-ফর্সেপসে বেরিয়ে আসে।

আমি মাঝে মাঝে ভাবি, এরা কার রুচি রিফর্ম করতে চায়? আমার? সাবধান! পাড়ার ছোঁড়ারা আমায় মানে (ওরাই আমাকে মাঝেমধ্যে বায়স্কোপে নিয়ে যায়), শুনলে ক্ষেপে উঠবে। বোর্ডেরও প্রাণের ভয় আছে। তবে কি টাঙাওলা বিড়িওলাদের? ওহ! কী দম্ভ! ওদের রুচিতে ভণ্ডামি নেই। ওইটে পেলে আমি বর্তে যেতুম।

কিন্তু সে কথা থাক। এই সেনসরিং ব্যাপারটা দেশে-বিদেশে কী প্রকারে সমাধান হয় সে সম্বন্ধে আরেকদিন সবিস্তর আলোচনা করব। ইতোমধ্যে ছোট হিটলারদের স্মরণ করিয়ে রাখি বড়া হিটলাররা জার্মানিতে ‘অলকোয়ায়েট’ ফিলিম ব্যান করেছিল।

সেই যুগে হঠাৎ দেখা দিলেন মহাকবি চার্লি চ্যাপলিন– ভগবান তাঁকে দীর্ঘায়ু করুন।

সাহিত্য বলুন, সঙ্গীত বলুন, চিত্রকলা বলুন, ভাস্কর্য বলুন, এরকম একটি তাজমহলের সামনে-দাঁড়িয়ে-নটরাজ পৃথিবীতে আর কখনও উদয় হয়নি। এঁর প্রতিভা অতুলনীয়। বাপ্লেবী এর কণ্ঠে, উর্বশী পদযুগে, এঁর দক্ষিণ হস্তে বিষ্ণুর চক্র (গ্রেট ডিকটেটর), বাম হস্তে দাক্ষিণ্যের বরাভয় (সিটি লাইট)। ইনি বিশ্বকর্তা। (মডার্ন টাইমস), ইনি নীলকণ্ঠ (মসিয়ো ভেরদু)। ‘অতি বড় বৃদ্ধ’ বলেই ইনি ‘সিদ্ধিতে নিপুণ’ এবং লগ্ন এলে শঙ্করের মতো নবীন বেশে সজ্জিত হতে জানেন (লাইম লাইট)।

রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ করে শরৎচন্দ্র একদা বলেছিলেন, ‘তোমার দিকে চাহিয়া আমাদের বিস্ময়ের অন্ত নাই।‘ সেই রবীন্দ্রনাথ সিন্ধুপারের হিস্পানি বিদেশিনীকে দেখে মুগ্ধ কণ্ঠে বলেছিলেন,

‘সুনীল সাগরের শ্যামল কিনারে

দেখেছি পথে যেতে তুলনাহীনারে।‘

চার্লির দিকে তাকিয়ে সর্বক্ষণ এই দোহাটি মনে পড়ে।

সর্বশ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক হিসেবে জগদ্বিখ্যাত হওয়ার পর টলস্টয় একখানি প্রামাণিক অলঙ্কার-শাস্ত্রের গ্রন্থ লেখেন। পুস্তকের প্রথম এবং শেষ প্রশ্ন, ‘হোয়াট ইজ আর্ট?’ অর্থাৎ ‘রস কী’, মধুর সঙ্গীত শুনে, উত্তম কাব্য পাঠ করে, দেবীর মূর্তি দেখে আমরা যে আনন্দরসে নিমজ্জিত হই সে বস্তুটি কী?

তার সংজ্ঞা দেওয়ার পর টলস্টয় বলেন, গুটিকয়েক উন্নাসিককে যে রস আনন্দ দান করে। সে রস হীন রস। আচণ্ডাল, (আ-সেনসর বোর্ড?)(১) জনসাধারণকে যে কাব্য আনন্দ দেয় সেই কাব্যই প্রকৃত কাব্য, উত্তম কাব্য। যথা, মহাভারত। পণ্ডিত-মূর্খ, বৃদ্ধ-বালক, পাপী-পুণ্যবান সকলেই এ কাব্য শুনে আনন্দ পায়।

অবশ্য সব পাঠক যে একই কাব্যে একই বস্তুতে আনন্দ পাবে এমনটা না-ও হতে পারে। বালক হয়তো কাব্যের কাহিনী বা পুট শুনে মুগ্ধ, বলদৃপ্ত যুবা হয়তো কর্ণার্জুনের যুদ্ধবর্ণনা শুনে বীর রসে লুপ্ত, বৃদ্ধ হয়তো শ্রীকৃষ্ণে অর্জুনের আত্মসমর্পণ দেখে ভক্তিরসে আপুত, এবং উদারচরিত সর্বরসে রসিকজন হয়তো প্রতি ঝঙ্কারে প্রতি মীড়ে প্রকৃত কাব্যরসে নিমজ্জিত।

তা হলে প্রশ্ন, মানুষের বর্বর রুচিকে কি মার্জিত করা যায় না? হয়তো যায়, কিংবা হয়তো যায় না, কিন্তু চেষ্টা আলবৎ করা যায়। সে চেষ্টা ভরত, দণ্ডিন, মম্মট, আরিস্ততেল, রবীন্দ্রনাথ, ক্রোচে করেছেন, কিন্তু এদের গলা কেটে ফেললেও এঁরা কোনও বোর্ডের মেম্বর হতে রাজি হতেন না। মানুষের রুচিপরিবর্তন এঁরাই করিয়েছেন– কোনও বোর্ড কখনওই কিছু পারেনি।

বর্তমান যুগে চার্লি সেই রসই সর্বজনকে উপহার দিয়েছেন। এ যুগের সাহিত্যে, কাব্যে, ভাস্কর্যে, রঙ্গমঞ্চেও কুত্রাপি কেউই চার্লির বৈচিত্র্য, বিস্তার, গভীরতা সর্বজনমর্মস্পর্শদক্ষতা দেখাতে পারেননি। এ যুগে শার্লক হোমস পৃথিবীর সর্বত্রই সম্মান পেয়েছেন, কিন্তু মানুষের কোমলতম স্পর্শকাতরতাকে তিনি তার চরম মূল্য দিতে পারেননি; ওমর খৈয়ামও প্রকৃত ধর্মভীরুকে বিচলিত করতে পারেননি।

চার্লিকে বিশ্লেষণ করি কী প্রকারে?

তাঁর সৃষ্টি, কিংবা তিনি নিজে, এই যে ‘লিটল ম্যান’, সামান্য জন, যেন পাড়ার জগা, টম্, ডিক, হ্যারি; ‘কেউ-কেটা’ তো নয়ই এক্কেবারে, ‘কেউ-না’ কী করে সকলকে ছাড়িয়ে এক অসাধারণ জন হয়ে সকলের হৃদয়ে এমন একটি আসন গ্রহণ করল যে আসন পূর্বে শূন্য ছিল এবং সেখানে আর কেউ কখনও আসতে পারবে না?

কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি?

ভ্যাগাবন্ড চার্লি একটা শুকনো ফুল দেখতে পেয়ে সেটি তুলে নিয়ে শুঁকতে লাগল। ঝাঁট-দিয়ে-ফেলে-দেওয়া ফুল– তার ফুল্ল যৌবন গেছে, সে পথপ্রান্তে অবহেলিত, পদদলিত। সামান্য যেটুকু গন্ধ এখনও তার অঙ্গে সুষুপ্ত ছিল চার্লি তাই যেন তার ‘সহৃদয়’ নিশ্বাস দিয়ে জাগিয়ে তুলে বুক ভরে নিচ্ছে। এ ফুল কি কখনও বিশ্বাস করতে পেরেছিল যে মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে– রবীন্দ্রনাথের কবি যেরকম আত্মহত্যার পূর্বমুহূর্তে রাজকন্যার বরমাল্য পেল– সে তার চরম সম্মান পাবে?

এমন সময় রাস্তার দুষ্ট ছোঁড়ারা মোকা পেয়ে পিছন থেকে চার্লির ছেঁড়া পাতলুনের ভিতর হাত ঢুকিয়ে শার্টে দিল টান। চচ্চড় করে ছিঁড়ে গেল পাতলুনের অনেকখানি– এই তার শেষ পাতলুন, এটাও গেল– আর বেরিয়ে এল ছেঁড়া শার্টের শেষ টুকরো।

আস্তে আস্তে ঘাড় ফিরিয়ে ভ্যাগাবন্ড চার্লি ছোঁড়াদের দিকে তাকাল। তারা তখন ‘শুভকর্ম’ সমাধান করে ছুটে পালাচ্ছে।

তখন ভ্যাগাবন্ডের চোখে কী বেদনাতুর করুণ ভাব!

ভিয়েনা, বার্লিন, প্যারিস-প্রাগে আমি বিস্তর থিয়েটার প্রচুর অপেরা দেখেছি, কাব্যে সাহিত্যে টন মণ করুণ রসের বর্ণনা পড়েছি, কিন্তু ভ্যাগাবন্ডের সে করুণ চাউনি এদের সবাইকে কোথায় ফেলে কহাঁ কহাঁ মুল্লুকে চলে যায়।

আর সেই নীরব চাউনিতে বলছে, ‘কেন, ভাই, তোরা আমাকে জ্বালাস? আমি তো তোদের সমাজের উজির-নাজির হতে চাইনে। কুকুর-বেড়ালটাকে পর্যন্ত আমি পথ ছেড়ে দিয়ে কোনও গতিকে দিন গুজরান করছি। আমায় শান্তিতে ছেড়ে দে না, বাবারা!’ তারপরে যেন দীর্ঘনিশ্বাস– হে ভগবান!

এখানেই কি শেষ? তা হলে চার্লি দস্তয়েফস্কির মতো শুধুমাত্র করুণ রসের রাজা হয়ে থাকতেন।

অন্ধ ফুলওয়ালি মিষ্টি হেসে চার্লিকে একটি তাজা ফুল দিতে যাচ্ছে। তাকে? চার্লিকে? অবিশ্বাস্য!

আইনস্টাইন একবার কোনও শহরের বড় স্টেশনে নেমে দেখেন বিস্তর লোক তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে– যেন তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে চায়। বিনয়ী আইনস্টাইন শুধু পিছনের দিকে তাকান আর ডাইনে-বাঁয়ে সরে যান। নিশ্চয়ই তাঁর পিছনে কোনও ডাকসাইটে কেষ্টবিষ্ট আসছেন, সবাই এসেছে তাঁকেই বরণ করতে, আইনস্টাইন শুধু আনাড়ির মতো মধ্যিখানে বাধার সৃষ্টি করছেন।

কই? কেউ তো নেই? রাস্তা একদম ভোঁ– কলকাতার রেশনশপের গুদামের মতো। এরা এসেছে আইনস্টাইনের জন্যই।

আমাদের ভ্যাগাবন্ডটিও পিছনে তাকাল। এক্সট্রিমস মিটু। আইনস্টাইন খ্যাতির সর্বোচ্চ ধাপে, চার্লি নিম্নতম মাপে।

ফুল পেয়ে চার্লির মুখের ভাব। স্মিত হাস্যে মুখের দুই প্রান্ত দুই কানে ঠেকে গিয়েছে, শুকনো গাল দুটো ফুলে গিয়ে উপরের দিকে উঠে চোখ দুটো চেপে ধরেছে। চোখের কোণ থেকে রগ পর্যন্ত চামড়া কুঁচকে গিয়ে কাকের পায়ের নকশা ধরেছে, সে চোখ দুটো কিন্তু বন্ধ– আমার যেন মনে হল ভেজা-ভেজা ঠিক বলতে পারব না, কারণ আমার চোখও তখন। ঝাপসা হয়ে গিয়েছে।

সর্বক্ষণ ভয় হচ্ছিল, এইবার না চার্লি ভ্যাক করে কেঁদে ফেলে!

কে বলে সংসারে শুধু অকারণ বেদনা, নিদারুণ লাঞ্ছনা! পকড়কে লে আও উস্কো। এলিসের রানির হুকুম, ‘অফফফ উইদ হিজ হেড।’

মানুষের কলিজায় চার্লি পুকুর খোঁড়েন কী করে? দুঃখ, সুখ, করুণ, কৃতজ্ঞতা এসব রস আমাদের কলিজার গভীরতম প্রদেশে চার্লি সঞ্চারিত করেন কোন্ পদ্ধতিতে?

এক ইরানি কবি বলেছেন, ‘সর্ব জিনিসের হদ্দ– অর্থাৎ সীমা জানাটাই প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার লক্ষণ।’

অর্থাৎ তাঁর বর্ণনায়, তাঁর অভিনয়ে চার্লি বাড়াবাড়ি করেন না। কারণ কে না জানে, একঘেয়েমির চূড়ান্তে পৌঁছয় মানুষ যখন ভ্যাচর-ভ্যাচর করে সবকিছু বলতে চায়, সামান্যতম জিনিস বাদ দিতে চায় না!

তাই অভিনব গুপ্ত, আনন্দবর্ধন বলেছেন, ‘ধ্বনি দিয়ে প্রকাশ করবে।’ ধ্বনি বলতে তারা ব্যঞ্জনা, ইঙ্গিত, সাজেসটিভনেস অনেক কিছুই বুঝেছেন।

যথা:

কুলটা রমণী পথিককে বলছে, ‘হে পথিক, এই ঘরে রাত্রিকালে আমার বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি শয়ন করেন, ওই ছোট ঘরে আমি একা থাকি, আমার স্বামী বিদেশে। তুমি এখন যাও।’

ইঙ্গিত সুস্পষ্ট।

অর্থাৎ চার্লি যেটুকু অভিনয় করেন, সে তো করেনই; সঙ্গে সঙ্গে আমরা সকলেই অনেকখানি অভিনয় করে নিই।

হালে চার্লি সুখবর দিয়েছেন, তিনি আবার সেই ‘লিটল ম্যান, সেই ভ্যাগাবন্ডকে পুনর্জন্ম দেবেন। তার যা বলবার তিনি তারই মারফতে শোনাবেন। শুনে আমরা উল্লসিত হয়েছি। ‘মঁসিয়ো ভের্দু’, ‘লাইম-লাইট’ উৎকৃষ্ট অতুলনীয় রসসৃষ্টি কিন্তু আমরা সেই ভ্যাগাবন্ডকে বড্ড মিস্ করছি।

চার্লি ভ্যাগাবন্ডকে বর্জন করেছিলেন কেন?

হয়তো ভেবেছিলেন সব কথা ওই একইজনের মারফতে বলা চলে না। আমাদের ভ্যাগাবন্ডের পক্ষে সবাইকে তো বিষ খাইয়ে খাইয়ে ‘বিজনেস্ ইস্ বিজনেস্’ বলে এলোপাতাড়ি বিধবাহনন করা যায় না– তাই ভের্দুর সৃষ্টি।

ঠিক এই কারণেই কোনান ডয়ল শার্লক হোমসকে মেরে ফেলে প্রফেসর চ্যালেঞ্জার সৃষ্টি করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথও তাই গদ্য কবিতা ধরেছিলেন। এই উদাহরণটাই ভালো।

কিন্তু রবীন্দ্রনাথ পদে পদে দেখলেন তাঁর কবিতায় পদে পদে মিল এসে যাচ্ছে, ছন্দ এসে যাচ্ছে। যাবেন কোথায়? পঞ্চাশ বছরের অভ্যাস। নাচার হয়ে মিলগুলো লাইনের শেষে না এনে মাঝখানে ঢুকিয়ে দিতে লাগলেন– শাক ঢাকা দিয়ে মাংস খাওয়ার মতো।

শেষটায় বললেন, ‘দুত্তোচ্ছাই! যাই ফিরে ফের মিল ছন্দে।’ রবীন্দ্রনাথের গবিতা নিকৃষ্ট নয়, রবীন্দ্রনাথের গবিতা উত্তম কবিতা, এই বাঙলা দেশে একমাত্র তিনিই সার্থক ‘গবি’, কিন্তু সোজা কথা তিনি বুঝে গেলেন যে কবিতার মিল ছন্দ বজায় রেখেও তাঁর যা বক্তব্য তা তিনি বলতে পারবেন। ফিরে গেলেন কবিতায়।

চার্লি যখন ভের্দু করছেন, তখন আমরা পদে পদে দেখতে পাচ্ছি তাঁর পিছনে ভ্যাগাবন্ডকে। তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাকে লুকোবার জন্যে– রবীন্দ্রনাথ যেরকম মিল লুকোবার চেষ্টা করেছিলেন গবিতায়– কিন্তু আমরা তাকে বারবার দেখতে পাচ্ছি। বারবার মনে হয়েছে, ‘আহা এ জায়গায় যদি আমাদের ভ্যাগাবন্ডটি থাকত তবে সে সিচুয়েশনটা কী চমৎকারই না একসপ্লয়েট করতে পারত!’

চার্লিও সেটা বুঝেছেন। যে ভ্যাগাবন্ডকে এতদিন একটুখানি জিরিয়ে নিলেন, তাকে চার্লি আবার ঘরের ভিতর থেকে টেনে আমাদের চোখের সামনে তাকে দিয়ে বাউণ্ডুলেপনা করাবেন।

সুসংবাদ!!

———

নোট. পাঠক ভাববেন না, আমি কলকাতা বা দিল্লির বোর্ডের কথা ভাবছি। আমি সর্ববিশ্বের জীবিত ও মৃত সর্ব বোর্ডের কথা ভাবছি। শ’ যেরকম ‘কুইনজ রিডার অব প্লেজ’-এর স্মরণে আপন মন্তব্য বিশ্ব-বোর্ডের উদ্দেশে লিখেছিলেন।

Inspire Literature
Inspire Literaturehttps://www.inspireliterature.com
Read your favourite inspire literature free forever on our blogging platform.
RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments